
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন- আগামী ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০২০ সালে পূর্ণ হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ পালিত হবে। মুজিব বর্ষের সারা বছর জুড়ে থাকবে কর্মসূচি।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার সম্পাদক হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি মুজিব বর্ষ পালনের নানা দিক তুলে ধরেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান বলেন- মুজিব বর্ষের প্রতিটি দিন একেকটি দিবস পালন করা হবে। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন- ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন পালনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষের সূচনা হবে। এর পরদিন অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশার বছরগুলোর ১৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু যেসব কার্যক্রম করেছিলেন সেই কার্যক্রমকে স্মরণ করা হবে। এভাবে প্রতিটি দিন বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশার বছরগুলোর প্রতিটি দিনের কার্যক্রমের উপর একটি দিবস পালন করা হবে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পূর্বে ৮ জানুয়ারি লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে অবস্থান করেছিলেন। মুজিব বর্ষের ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নানা আয়োজনের পাশাপাশি অনেক প্রকাশনা থাকবে বলেও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে ব্যাপকভাবে। এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুণ, যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে। আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত। দেশের ‘জ্ঞানী-গুণী’ ব্যক্তিদেরও এতে সম্পৃক্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি, জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি মুজিব বর্ষের কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বিতভাবে পালিত করা হবে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করা হবে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নিয়েও কয়েকটি খন্ডের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করা হবে। বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি’র সাথে আলাপকালে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব উপ-সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক অজিত লাল দাশ প্রমূখ।