অভিষেক অনুষ্ঠানে ভিসি ড. জহিরুল হক
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “সুষম উন্নয়নের জন্য জাতীয় উন্নয়নে নারীদের সম্পৃক্ত ও নারীদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নারীর কর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উন্নতির পাশাপাশি আমাদের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতির সমৃদ্ধি ঘটবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বাড়ানো ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটলে নারীর আরও কর্মসংস্থান ঘটানো সম্ভব।” গত ৪ মে রোববার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শহরের স্কাইকিং রেস্টুরেন্টের হলরুমে ইনার হুইল ক্লাব অব হবিগঞ্জ এর ৯ম অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট তাছকিরা আক্তার জুবলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট-৩৪৫ এর চেয়ারম্যান ফারাহনাজ কাইয়ূম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান সিপি তাহমিনা বেগম গিনি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান পিপি ডাঃ মোঃ জমির আলী, রোটারিয়ান পিপি বাদল কুমার রায়, দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ সম্পাদক ও এনটিভি প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, রোটারিয়ান শাহ ফখরুজ্জামান, পরিবেশবিদ তোফাজ্জল সোহেল, রোটারিয়ান সিপি ডাঃ এস এস আল আমিন সুমন, রোটারিয়ান পিপি হাফিজুর রহমান সুমন, রোটারি ক্লাব অব হবিগঞ্জ এর প্রেসিডেন্ট এ এস এম মহসিন চৌধুরী, রোটারিয়ান মোহাম্মদ শাহীন, রোটারি ক্লাব অব হবিগঞ্জ খোয়াই এর প্রেসিডেন্ট আজিজুর রহমান মান্না, রোটারিয়ান ড. মুহাম্মদ নোমান মিয়া, রোটারিয়ান হাবিবুর রহমান মুরাদ, সাকিব আহমেদ। অনুষ্ঠানে ইনার হুইল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিন নারীকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজন হলেন জাহানারা আফছার (সমাজসেবা), অধ্যক্ষ জাহানারা খাতুন (শিক্ষায়) ও অ্যাডভোকেট মোছাদ্দেকা আক্তার নেলি (সমাজসেবায়)।
অভিষেক উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিন এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে একজন অসহায় মহিলাকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরও বলেন, “১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বে নারীদের বৃহৎ প্লাটফর্ম ইনার হুইল ক্লাব অব হবিগঞ্জ নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ইনার হুইল ক্লাব অব হবিগঞ্জ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নসহ নারীর দারিদ্র দূরীকরণ, নারীদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা, নারীদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাসহ নারী ও সমাজ উন্নয়নে যেসব কাজ করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
শেষে হবিগঞ্জ এর তিনজন নারীকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।