
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে কথিত সাংবাদিক নামধারী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও সম্মানহানির অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল বুধবার (৭ মে) বেলা ৩টায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুস ছালাম ও সাবেক ইউপি সদস্য শেখ মোঃ ইসাক মিয়া। লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ফারুক মিয়া ও জাকারিয়া গংদের সঙ্গে আব্দুস ছালামের বিদ্যুৎ লাইনের বিষয় নিয়ে একটি বিরোধ চলছিল। স্থানীয় মুরুব্বিরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও গত ১ মে বৃহস্পতিবার বাদল আহমদ ও শফিকুল ইসলাম নাহিদ নামে দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জায়গা মাপজোক করেন এবং আব্দুস ছালামের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে ৪ মে রবিবার আশাহিদ আলী আশা, করগাঁও গ্রামের আজির মিয়ার ছেলে রুমান মিয়ার সহযোগিতায় বাদল আহমদ ও শফিকুল ইসলাম নাহিদ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের নিয়ে এসে ফারুক মিয়ার পক্ষ নিয়ে আব্দুস ছালামের ঘরের ওপর দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যুৎ লাইন টানার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিলে বাদল ও নাহিদ পুলিশের উপস্থিতিতে মহিলাসহ উপস্থিত লোকজনকে গালিগালাজ, হুমকি-ধমকি ও গ্রেফতারের ভয় দেখান বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈদ্যুতিক লাইন বসাতে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল ও নাহিদ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে আব্দুস ছালাম, সাবেক মেম্বার শেখ ইসাক মিয়া, নোমান মিয়া, শফি মিয়া ও এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ মিয়াকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন।
এছাড়া তারা দাবি করেন, অভিযুক্ত বাদল ও নাহিদের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বাদল ও নাহিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য শেখ মোঃ ইসাক মিয়া ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।