চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর শহরে এক রাতে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বাসায় দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা এসব প্রতিষ্ঠানের সার্টারের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চুনারুঘাটে তোলপাড় চলছে। কিছুদিন পূর্বেও শহরের আরো ৮/১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এভাবে চুরি সংঘটিত হয়েছিল। এদিকে গতকাল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত এসব চোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার গভীর রাতে পৌর শহরের বাল্লা রোডের সাহিদ চক্ষু হাসপাতাল ও ফার্মেসী, ১ টু ৯৯ দোকান, চট্টগ্রাম স্টোর, ছইব আলী বাসা, আব্দুল মালেকের রড সিমেন্টর দোকান, মীর হোসেন ট্রেডার্স, উপজেলা গেইটের মা বাবা ট্রেডার্স, বিজলী ট্রেডার্স ও বর্ষা স্টোরসহ ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসার সার্টার কেটে চোরেরা প্রবেশ করে। চোরেরা এসব দোকানের ড্রয়ার ও ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে বেশ কিছু নগদ টাকা এবং ছইব আলীর বাসার কাপড় চোপড়সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মুখবাঁধা কম বয়সের যুবকরা দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভাংচুর করে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এসময় চোরেরা দোকানের বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে টাকা খুজঁতে থাকে। এসময় চোরদের অন্য সঙ্গীরা বাইরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে পাহারা দেয়। প্রায় একই কায়দায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত করে।
একই রাতে শহরের এতসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। কিছুদিন পূর্বেও আরো ৮/১০টি প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়েছে। তারা বাজারে পাহারা এবং পুলিশ টহল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, রাতে পুলিশের টহলও পাওয়া যায় না। বাজারে বার বার চুরির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বাজার কমিটিকে দোষারোপ করছেন।
এদিকে গতকাল অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সভায় এসব বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মাসুদসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বাজারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ টহল বাড়ানো, সকল চোরদের আইনের আওতায় আনা এবং চুরি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান। তিনি জানান, কয়েকদিন পূর্বেও ৩টি দোকানে চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ এসেছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। খুব দ্রুত চোরদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া শহরে পাহারার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশ টহল বাড়ানোর কথাও বলেছেন ওসি।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শহরে রাত ১২টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করা এবং লোকজনের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করার কথাও বলা হয়।
রাত ১২টার পর সকল দোকানপাট বন্ধ এবং লোকজনের চলাচল নিষিদ্ধ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com