লাখাইয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুনকে গ্রেফতার করার জন্য খুঁজছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান মামুনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন আহত কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম।
আহত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাইলো (প্লাস্টিকের ড্রাম) স্থানীয় গরীবদেরকে অনুদান দেয়ার জন্য আসে। ৪নং বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুন তার লোকদেরকে দেয়ার জন্য সাইফুলকে বলেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদেরকে না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মুড়াকড়ি গ্রাম থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনের রাস্তায় চেয়ারম্যান মামুন ও তার লোকজন কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করেন। এক পর্যায়ে তাকে আহত করেন। স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে লাখাই থানার ওসি সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুন হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাইলো (প্লাস্টিকের ড্রাম) বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষদেরকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী দরিদ্র ৪৬০ জন লোকের তালিকা দিয়ে তিনি পবিত্র ওমরাহ হজ্বে চলে যান। হজ্ব থেকে এসে দেখেন তার তালিকা বাদ দিয়ে কতিপয় মেম্বারের কথামতো সাইফুল ইসলাম ১৩০ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ২শ’ টাকা করে নিয়ে এসব ড্রাম বিতরণ করেন। এতে তিনি রাগান্বিত হলে সাইফুল ইসলামের সাথে বাক-বিতন্ডা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তিনি তাকে মারধর করেননি বলে জানান।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি মোঃ এমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুনসহ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামীদের নাম না বললেও ওসি জানান- চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুনকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।