অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস

এম. এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ধান-চাল সংগ্রহে ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক তৈরিকৃত তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম, স্বজনপ্রীতি, একই পরিবারে একাধিক নাম সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গনি ওসমানী। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা কৃষকের তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম দেয়ার সত্যতা, একই পরিবারে একাধিক নাম দেয়া সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এ ব্যাপারে শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি তৌহিদ-বিন হাসান বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির উপদেষ্টা গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ বলেন, তদন্ত কমিটি সূত্রে জেনেছি সরকারি ধান সংগ্রহে কৃষকের নামের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। অবশ্যই প্রকৃত কৃষকদের বাহিরে রেখে যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তালিকায় নিজের নাম এবং একই পরিবারে একাধিক নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে সেসব কুচক্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো আপোষ নেই।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন পত্রিকায় নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকার কর্তৃক সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয়ে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নানা স্বজনপ্রীতি। উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের ঠেলাঠেলিতে হচ্ছে এ অনিয়ম। দায়ভার এড়িয়ে একে অপরের প্রতি দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত কৃষক কার কাছে গেলে ন্যায্য বিচার বা তাদের অধিকার পাবে তা গ্রামের সহজ সরল কৃষকদের জানা নেই এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক তড়িৎ গতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন ও ধান সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
এদিকে ধান-চাল সংগ্রহে কৃষকের তালিকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিজেদের নাম এবং আত্মীয় স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে।