পল্লী চিকিৎসক বললেন ‘কালীসাধক পার্বতীকে মা কালী নিয়ে গেছে’
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালপুরে জৈন্তাগাছে ঝুলছিল পার্বতী দেবনাথ (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছে তাকে ‘মা কালী’ নিয়ে গেছে আবার কেউ বলছে সে আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়েও নানান গুঞ্জন আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পার্বতী ওই গ্রামের চিত্তরঞ্জন দেবনাথের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্বতী দেবনাথ কালী সাধনা করতেন। গত বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে তিনি ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ চিত্তরঞ্জনের ঘুম ভাঙ্গে। এ সময় তিনি দেখেন পাশে পার্বতী নেই। বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীকে নিয়ে রাত ৩টায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। তখন তাদের চোখে পড়ে বাড়ির পাশে জৈন্তাগাছে পার্বতীর শাড়ি দিয়ে গলায় পেছানো ঝুলন্ত লাশ। তখন পরিবারের লোকজন লাশটি নামিয়ে মাথায় পানি ঢালতে শুরু করেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন পার্বতী মারা গেছেন। তখন চলে যাওয়ার সময় ওই চিকিৎসক বলেন ‘কালীসাধক পার্বতীকে মা কালী নিয়ে গেছে’। বিষয়টি পুলিশকে জানালে বিপদ হবে ভেবে দিনের বেলা তাকে দাহ করার চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজনের কথায় তারা পুলিশকে অবগত কর। এ ব্যাপারে এসআই আব্দুর রহিম জানান, আজ শুক্রবার ওই নারীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।