স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং থানা হাজত থেকে উদ্ধার হওয়া আসামী গোলাম রাব্বানীর (২৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার ময়না তদন্ত শেষে বেলা ৩টার দিকে রব্বানীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে মাগরিবের নামাজের পর বিবির দরগা জামে মসজিদে জানাজা শেষে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে থানা হাজতখানায় গোলাম রাব্বানীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তবে পুলিশের দাবি সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে মেরে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত পরনের বেল্ট ও গেঞ্জি দিয়ে গলায় বাঁধা অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবক বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের নাগের খানা মহল্লার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে নিহত রাব্বানীর মা ফজর চানের দাবি পুলিশ আমার ছেলেরে মাইরধোর কইরা মাইরা ফালাইছে। আমার পোলা কেন ফাঁস লাগাবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। তাছাড়া সাধারণ মানুষ বলছেন, থানা হাজতে কোনো অবস্থাতেই আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। সার্বক্ষণিক কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পর কি করে সে মারা গেলো তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে একটি চুরির মামলায় গোলাম রাব্বানীকে তার বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করে থানার হাজতে ঢোকানো হয়। এশার নামাজের সময় পুলিশ তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাৎক্ষণিক বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাব্বানীকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, আনুমানিক এশার নামাজের সময় আমরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।