স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চক্রমোহনা গ্রামে জেসমিন আক্তার নামে এক যুবতীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জেসমিনের পরিবারের দাবি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ বলছে- গলায় ফাঁস লাগানোর কোন চিহ্ন নেই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চক্রমোহনা গ্রামের আরজু মিয়ার কন্যা জেসমিন আক্তার গতকাল রাত ৭টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অভিমান করে ঘরের তীরে গলায় ওড়না পেছিয়ে শোর চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জেসমিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্ধ্যায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জেসমিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষোভে সে ঘরের তীরে ওড়না পেছিয়ে শোর চিৎকার করলে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান হাসপাতালে ছুটে আসেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দিন, ওসি (অপারেশন) মোবারক হোসেনসহ সদর থানা পুলিশ জেসমিনের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ছুরতহাল রিপোর্টে মেয়েটি গলায় ফাঁস লাগানোর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, মেয়েটি কিভাবে মারা গেছে তা ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না।