![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2023/10/010-Abdul-Latif.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে জেলা কোটায় চাকরি নিয়েছেন হবিগঞ্জ তথ্য অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ। চাকরিও করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। সুনামগঞ্জ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে তিনি চাকরি নিয়েছেন। বর্তমানে প্রায় ২ বছর ধরে হবিগঞ্জে কর্মরত আছেন। কিন্তু ভেরিফিকেশনে কেন বিষয়টি ধরা পড়েনি তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জেলা তথ্য অফিসার তপন চন্দ্র ব্যাপারী।
তিনি জানান, অনেক জায়গায়ই দেখেছি এক জেলার বাসিন্দা অন্য জেলা কোটায় চাকরি করেছেন। অনেকেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন একবার সুযোগ দিয়েছিল নিজের জেলা উল্লেখ করে অন্য জেলার একটি ঠিকানা দেখিয়ে চাকরির আবেদন করার। কিন্তু এটি ভেরিফিকেশনে কেন ধরা পড়েনি। তিনি বলেন, এখন আসলে বিষয়টি নিয়ে আমার তদন্ত করার সুযোগ নেই। নিয়োগ কর্তৃপক্ষ যদি আমাকে দায়িত্ব দেন তদন্ত করার তখনই শুধু আমি তদন্ত করতে পারি।
অভিযুক্ত হবিগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ আব্দুল লতিফ স্বীকার করেন তার বাড়ি মাধবপুরে। কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলায় স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে কেন চাকরি নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জেই। সিলেট এবং হবিগঞ্জেও আমার বাসা আছে। মাধবপুরে আমরা পরবর্তীতে বাড়ি করেছি।
মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, আব্দুল লতিফ আমার বাল্য বন্ধু। মক্তব, স্কুলে আমরা একসাথে পড়েছি। একসাথে চলেছি। তাদের স্থায়ী বাড়ি আমার ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামে। সিলেটে তার বাসা আছে জানি। কিন্তু সুনামগঞ্জে তার কোন বাড়ি বা বাসা আছে বা ছিল বলে আমি জানি না।
জানা যায়, আব্দুল লতিফের পিতার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক পড়ালেখাও করেছেন পাশর্^বর্তী গোবিন্দপুরে। আর উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন একই উপজেলার মনতলা কলেজ থেকে। কিন্তু চাকরি নেয়ার সময় তার স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। এ ঠিকানায় সুনামগঞ্জ জেলা কোঠায় তিনি চাকরি নেন।