স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা পুলিশ এসল্ট মামলায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতা জামিন পেয়েছেন। রবিবার হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন এর আদালতে বিএনপি নেতারা জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতারা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান হেলাল, মাধবপুর উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী ফজলে ইমাম সুমন, বিএনপি নেতা মহিবুল্লাহ, মাধবপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম সিকদার, মাধবপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মনির পাঠান ও বিএনপি নেতা কুমেদ আলী। এর আগে হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিমসহ ওই ৯ নেতাকে বিস্ফোরক মামলায় জামিন দেওয়া হয়। দুই মামলায় গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর ঈদগার সামন থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে প্রধান সড়ক ছেড়ে ভিতরের রাস্তায় চলে যেতে বলে। কিন্তু হাজার হাজার লোক সমাগম হওয়ায় ভিতরের রাস্তায় জায়গা না হওয়ায় নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে অবস্থান করছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়াও সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব সহ কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে বিএনপির ১২শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ২১ আগস্ট সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও এসআই খুর্শেদ আলম বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট মামলাটি দায়ের করেন।