স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় পদসৃজনসহ ন্যায্য দাবিতে ১০ অক্টোবর হতে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিন সারাদেশের সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাসহ সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজসহ হবিগঞ্জ জেলার তিনটি সরকারি কলেজেও উক্ত কর্মসূচি পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। কমিটির এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়- ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওইদিনটিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বৃন্দাবন সরকারি কলেজ শাখা জানায়- গতকাল ১২ অক্টোবর বিকাল চারটায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উন্মুক্ত ক্যাম্পাসে একটি সভার মাধ্যমে তিনদিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সভায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ ছগীর, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর দেওয়ান জামাল উদ্দিন আহমেদ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জিয়া আরেফিন আজাদ, সাংগঠনিক সচিব মোঃ তোফাজ্জল আলী, হবিগঞ্জ জেলা ইউনিটের সহ সভাপতি এ কে এম হারুনর রশীদ, বৃন্দাবন কলেজ ইউনিট সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মিলি আক্তার প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় যুগ্ম মহাসচিব জিয়া আরেফিন আজাদ বলেন- বিদ্যমান প্রকট ক্যাডার বৈষম্যের পাশাপাশি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিডিউলভুক্ত পদসমূহে ভিন্ন পেশার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বে আঘাত করা হয়েছে। সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এই কাজগুলি যারা করছেন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি দায় তাদেরকেই নিতে হবে। অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ ছগীর সুপার নিউমেরারি পদোন্নতি সহ প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান। তিনি ক্যাডার শিডিউলের পদ হতে বহিরাগতদের প্রত্যাহার দাবি করেন।