সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ॥ দুর্গাপূজার বোনাস ও এরিয়া বিল (বকেয়া বর্জিত বেতন) পরিশোধের দাবিতে চুনারুঘাট উপজেলার দেওন্দি চা বাগান ও লাল চান্দ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। কর্মবিরতি পালন করায় দুই চা বাগানের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার চা পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকে চুনারুঘাটের দেওন্দি চা বাগানের নাচ ঘরে এই কর্মবিরতি পালন শুরু করে দুটি চা বাগানের প্রায় ১৪শ’ চা শ্রমিক।
একটি সূত্র জানায়- দেওন্দি চা বাগান ও ফাঁড়ি বাগান গিলানি, রঘুনন্দন ফাঁড়ি বাগান এবং লাল চান্দ চা বাগান শ্রমিকদের ১৯ মাসের এরিয়া বিল প্রায় ৪২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া দুর্গাপূজার বোনাস জনপ্রতি ৫ হাজার ২শ’ টাকা করে প্রায় ৭২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ২১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। কিন্তু মালিকপক্ষ বারবার তারিখ করেও শ্রমিকদের এরিয়া ও বোনাস পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর মালিকপক্ষ সময় চেয়ে শ্রমিক নেতাদের একটি চিঠি দেয়। দেওন্দি চা বাগানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম ওয়াহিদুল হক সাক্ষরিত চিঠিতে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সকল পাওনা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ১০ অক্টোবর মালিকপক্ষ টাকা পরিশোধ করেনি।
দেওন্দি চা বাগানের শ্রমিক নিরালা ভৌমিক এ প্রতিনিধিকে জানান, বাগানের শ্রমিক নেতাদের কোন্দলের কারণে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বারবার মালিকপক্ষ আশার কথা শুনালেও দুর্গাপূজায় তারা শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করেনি। তাই বকেয়া টাকার দাবিতে কর্মবিরতি দেয়া হয়েছে। লস্করপুর ভ্যালির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর বাউরি এ প্রতিনিধিকে বলেন, কোম্পানির মালিকদের টাল বাহানা শুনতে শুনতে শ্রমিকরা ফুঁসে উঠেছে। বাগানে এখন কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতি পালন শেষে সিন্ধান্ত হয়েছে দেনা পাওনা শোধ না হওয়া পর্যন্ত বাগান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, বাগানে উৎপাদন কম হওয়ায় বাগান লোকসানে রয়েছে। দেওন্দি বাগানের ফাঁড়ি রঘুনন্দন চা বাগানের সুশীল মালা ও লাল চান্দ চা বাগানের শ্রমিক রতন বাউরি এ প্রতিনিধিকে বলেন, সারা বছর চা বাগানে কাজ করে আশায় থাকি দুর্গাপূজায় সন্তানদের ভালো কাপড় ক্রয় করে দেব। অথচ দুর্গাপূজা আসার আগেই পাওনা টাকা নিয়ে টাল বাহানা করছে মালিকপক্ষ। দেওন্দি চা বাগানের সুজিত বাউরি বলেন, সকল বাগানে চা উৎপাদন কম হয়েছে। এতে মালিকপক্ষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার মিরথিংঙা চা বাগান থেকে এক ট্রাক কাঁচা চা পাতা দেওন্দি চা কারখানায় এসেছে। কিন্তু শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় কাঁচা চা পাতা নষ্ট হয়ে পড়েছে।
দেওন্দি চা বাগানের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, দুর্গাপূজা শুরু হতে আরও ১০ দিন বাকি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগান শ্রমিকদের খরচ লাগে। শ্রমিকদের টাকা পাওনা রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন- বাগানের উৎপাদন খুবই খারাপ। বাজারে চায়ের মূল্য কম থাকায় বাগানে আয় একেবারে কমে গেছে। ফলে পাওনা টাকা যথা সময়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে চাচ্ছে।
শ্রমিকের কর্মবিরতিতে দেওন্দি ও লাল চান্দ চা বাগানে ৪০ লক্ষাধিক টাকার চা পাতা নষ্ট হয়ে গেছে
সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ॥ দুর্গাপূজার বোনাস ও এরিয়া বিল (বকেয়া বর্জিত বেতন) পরিশোধের দাবিতে চুনারুঘাট উপজেলার দেওন্দি চা বাগান ও লাল চান্দ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। কর্মবিরতি পালন করায় দুই চা বাগানের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার চা পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকে চুনারুঘাটের দেওন্দি চা বাগানের নাচ ঘরে এই কর্মবিরতি পালন শুরু করে দুটি চা বাগানের প্রায় ১৪শ’ চা শ্রমিক।
একটি সূত্র জানায়- দেওন্দি চা বাগান ও ফাঁড়ি বাগান গিলানি, রঘুনন্দন ফাঁড়ি বাগান এবং লাল চান্দ চা বাগান শ্রমিকদের ১৯ মাসের এরিয়া বিল প্রায় ৪২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া দুর্গাপূজার বোনাস জনপ্রতি ৫ হাজার ২শ’ টাকা করে প্রায় ৭২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ২১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। কিন্তু মালিকপক্ষ বারবার তারিখ করেও শ্রমিকদের এরিয়া ও বোনাস পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর মালিকপক্ষ সময় চেয়ে শ্রমিক নেতাদের একটি চিঠি দেয়। দেওন্দি চা বাগানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম ওয়াহিদুল হক সাক্ষরিত চিঠিতে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সকল পাওনা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ১০ অক্টোবর মালিকপক্ষ টাকা পরিশোধ করেনি।
দেওন্দি চা বাগানের শ্রমিক নিরালা ভৌমিক এ প্রতিনিধিকে জানান, বাগানের শ্রমিক নেতাদের কোন্দলের কারণে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বারবার মালিকপক্ষ আশার কথা শুনালেও দুর্গাপূজায় তারা শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করেনি। তাই বকেয়া টাকার দাবিতে কর্মবিরতি দেয়া হয়েছে। লস্করপুর ভ্যালির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর বাউরি এ প্রতিনিধিকে বলেন, কোম্পানির মালিকদের টাল বাহানা শুনতে শুনতে শ্রমিকরা ফুঁসে উঠেছে। বাগানে এখন কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতি পালন শেষে সিন্ধান্ত হয়েছে দেনা পাওনা শোধ না হওয়া পর্যন্ত বাগান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, বাগানে উৎপাদন কম হওয়ায় বাগান লোকসানে রয়েছে। দেওন্দি বাগানের ফাঁড়ি রঘুনন্দন চা বাগানের সুশীল মালা ও লাল চান্দ চা বাগানের শ্রমিক রতন বাউরি এ প্রতিনিধিকে বলেন, সারা বছর চা বাগানে কাজ করে আশায় থাকি দুর্গাপূজায় সন্তানদের ভালো কাপড় ক্রয় করে দেব। অথচ দুর্গাপূজা আসার আগেই পাওনা টাকা নিয়ে টাল বাহানা করছে মালিকপক্ষ। দেওন্দি চা বাগানের সুজিত বাউরি বলেন, সকল বাগানে চা উৎপাদন কম হয়েছে। এতে মালিকপক্ষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার মিরথিংঙা চা বাগান থেকে এক ট্রাক কাঁচা চা পাতা দেওন্দি চা কারখানায় এসেছে। কিন্তু শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় কাঁচা চা পাতা নষ্ট হয়ে পড়েছে।
দেওন্দি চা বাগানের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, দুর্গাপূজা শুরু হতে আরও ১০ দিন বাকি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগান শ্রমিকদের খরচ লাগে। শ্রমিকদের টাকা পাওনা রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন- বাগানের উৎপাদন খুবই খারাপ। বাজারে চায়ের মূল্য কম থাকায় বাগানে আয় একেবারে কমে গেছে। ফলে পাওনা টাকা যথা সময়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে চাচ্ছে।