মোঃ আক্তার হোসেন ॥ হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আজ রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। তাদের আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার তাদের আত্মসমর্পণ করার শেষ তারিখ।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৯ আগস্ট শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি শায়েস্তানগর এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি শায়েস্তানগর পয়েন্ট হয়ে ঈদগাহ রোড ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌছে। এ সময় নেতাকর্মীরা নানা শ্লোগান দিতে থাকে। তখন পুলিশ বঁাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাঁধে। দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব গুরুতর আহত হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়ালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। উভয়দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়। মামলাগুলোর উল্লেখযোগ্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ¦ জি কে গউছ, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিললুর রহমান, জেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সৈয়দ মুশফিক হোসেন, গোলাম মাহবুব, মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, টিপু আহমেদ, মুহিবুল ইসলাম শাহীন। এর মধ্যে জি কে গউছ, রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সৈয়দ মুশফিকসহ আরও অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। আর কামাল উদ্দিন সেলিম জামিনে মুক্ত আছেন। অন্যান্যরা হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে আছেন। হাইকোর্ট তাদেরকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত তাদের আদালতে আত্মসমর্পণের মেয়াদ রয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, কোর্ট পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে আদালত প্রাঙ্গণে।