স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রভাবশালী এক ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সুন্দরী যুবতীর অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই ওই যুবতী নিখোঁজ। এতে রহস্য দানা বেঁধেছে। গত তিন দিন ধরে ওই চেয়ারম্যানের এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রভাবশালী ওই ইউপি চেয়ারম্যান তার বান্ধবী মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকার হালিমা আক্তার সনি নামে এক যুবতীকে নিয়ে অলিপুর প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর প্রাইভেট হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা করাতে যান। ওই যুবতীকে নিয়ে তিনি ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করেন। এ সময় ডাক্তার চেম্বারে ছিলেন না। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রিসিপশনে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণডুরা গ্রামের পাপন দাসের সন্দেহ হয়। ৩০ মিনিট পরও তারা রুম থেকে বের না হলে পাপন উঠে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। এরপরও দরজা না খোলায় তিনি লক খুলে ফেলেন। এক পর্যায়ে উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান পাপন। তখন তিনি চিৎকার দিলে আরও লোকজন এসে তাদের আটক করেন। কিন্তু ওই চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তোপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে হয়।
এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকে মন্তব্য করছেন একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে তারা এটি আশা করেননি। এদিকে পাপন দাস ঘটনার পর একদিন ডিউটিতে যাননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই যুবতী নিখোঁজ রয়েছে।