স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন প্রকল্পের সদস্যরা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান নলিউর রহমান তালুকদারের মদদে পশ্চিমবাগ বেড়িবাঁধ ব্যাবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ সামছু মিয়া তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক তাবাজুল হোসেন তালুকদার ভূয়া বিল তৈরী করে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ এলজিইডি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়ন পশ্চিমবাগ পাবসস এর মাধ্যমে ২০২২ সালে ৪.৮৭০ মি: দৈর্ঘ্য বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহন করে। অপরদিকে এলজিইডি ইলিপের আওতায় ২০২২ সালে ৩ হাজার মিটার খাল খননের টেন্ডার আহ্বান করে। জিংড়িমুখ কেচুরিয়া (বোয়ালিয়া) খালটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পুন: খনন করে পাড়গুলো সুন্দর ভাবে সড়কের মত তৈরী করে। উক্ত খালের পাড়কে বেড়িবাঁধে প্রকল্প বানিয়ে এপ্রিল ২০২২ তারিখে ৩৩,৬০,৪৬৫/-টাকার ভূয়া বিল তৈরী করে সমিতির সভাপতি সামছু মিয়া তালুকদার ও সম্পাদক তাবাজুল হোসেন তালুকদার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নলিউর রহমান তালুকদার ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোছাদেকুল ইসলাম।
জানা যায়, বেড়িবাঁধটি স্থানীয় লোকজন দ্বারা নির্মাণ করার কথা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কৃষি ব্যাংক আজমিরীগঞ্জ শাখায় তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ২৭টি যৌথ ব্যাংক হিসাব খুলে চেক বইয়ে অগ্রিম স্বাক্ষর নিয়ে যায়। ১ম পর্যায়ে তারা ১৪টি একাউন্টের মাধ্যমে ৩৩,৬০,৪৬৫/-টাকা ভূয়া বিল উত্তোলন করে, ১৪টি একাউন্ট হোল্ডারগণ যখন জানতে পারে তাদের নামে ভূয়া বিল হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ১১ জন একাউন্ট হোল্ডার হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করে বলেন যে, আমরা কোন কাজ করি নাই এবং আমাদের এলাকার কোন বেড়িবাঁধের কাজ হয়নি। আমরা টাকাও উত্তোলন করিনি। আমাদের নামে সভাপতি সামছু মিয়া তালুকদার ও সম্পাদক তাবাজুল হোসেন তালুকদার টাকা উত্তোলন করেছে।