সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউড়া গ্রামে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীর পিতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল খালেক ওই গ্রামের মৃত রঙ্গু মিয়ার পুত্র।
হাসপাতালে ভর্তি আব্দুল খালেক জানান, সরকারি চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতেন। এ সময় তার সম্পত্তি চাচাত ভাই অনু মিয়া দেখাশোনা ও ভোগ দখল করেছেন। সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরে আসার পর তিনি সকল সম্পত্তি নিজের কাছে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অনু মিয়া।
সম্প্রতি আব্দুল খালেকের চাচাতো ভাই অনু মিয়া জায়গা সম্পত্তি ভোগদখল করতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। আব্দুল খালেকের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে অনু মিয়ার ছেলের কাছে বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠান। মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় আব্দুল খালেক ভাইয়ের পাঠানো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় অনু মিয়া ও তার লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট প্রেরণ করা হয়। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আহত আব্দুল খালেককে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অপর একটি সূত্র জানায়, মৃত রঙ্গু মিয়ার পুত্র আব্দুল গনি, আব্দুল মালেক, আব্দুল মন্নান ও অনু মিয়ার মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল পাশাপাশি ওইদিন অভিযুক্ত আব্দুল গণি আহত আব্দুল খালেকের কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চায়, ওই টাকা দিতে রাজি না হলে গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা আব্দুল খালেকের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দা’র কোপে আব্দুল খালেকের বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় তার স্ত্রী তাহেরা খাতুন বাঁচাতে গেলে তার উপরও হামলা করে প্রতিপক্ষ। একপর্যায়ে আব্দুল খালেকের শোরচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত সূত্রে আরোও জানা যায় আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ আব্দুল খালেক ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। আব্দুল খালেক সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ায় চাকুরীর সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন এবং গ্রামের বাড়িতে সকল সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলেন তার ভাইয়েরা। পরবর্তীতে আব্দুল খালেক সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পরে বাড়িতে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।