আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ বানিয়াচং উপজেলার বোরো ধানের জমিতে পরাগায়ন সমস্যা ও লেদা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকগণ। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বোরো’র আগাম জাতের ধানকাটা পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা এর পূর্বেই আবহাওয়াজনিত কারণে পরাগায়ন না হওয়া ও লেদা পোকার আক্রমণে চলতি বছরে অনেক কৃষকই ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবেন না। থোড় ও আধাপাকা ধানের ছড়া কেটে দিয়ে একরের পর একর ধানের জমি কেটে কৃষকের সর্বনাশ করে চলেছে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ সর্বনাশা লেদা পোকা।
একই সময়ে আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারনে অনেক হাওরে পরাগায়ন না হওয়ায় ধানের ছড়া বিবর্ণ রং ধারন করে মড়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার ইসলামপুর মৌজার হাওর, রাজিমপুর মৌজার গুজির হাওর, মকার হাওর, আহমদপুর মৌজার হাওর, মজলিসপুর মৌজার মজলিসপুর বন্দ, দইলিয়ার বন্দ, হান্নি মৌজার হান্নির বন্দ ও হাগদার বন্দ সহ বেশ কয়েকটি হাওরে পোকার আক্রমণ ও পরাগায়ন সমস্যা পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়েছে বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন হাওরে প্রায় ৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমান আরও বেশি।
কৃষক মোঃ শামিন মিয়া (৩৫) জানান, হান্নির বন্দে ১২বারো কেদার জমি চাষ করেছেন লেদা পোকার আক্রমণে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০ চল্লিশ হাজার টাকা। পোকার আক্রমণে যেভাবে ফসল নষ্ট হচ্ছে পরিবার নিয়ে না-খেয়ে উপুস থাকতে হবে। ইউসুফপুর গ্রামের কৃষক মতুর মিয়া জানান, ইসলামপুর ও রাজীমপুর হাওরে ৪০ কেদার জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সকল জমিই লেদা পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। ঋণ ও ধারদেনায় জমি চাষ করে সর্বনাশা পোকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তৈয়ব আলী জানান, হোন্ডার হাওরে গরম বাতাস এসে ধানের জমি নষ্ট করে ফেলছে। কৃষক কালু মিয়া জানান, ইসলামপুর হাওরে লেদা পোকার আক্রমণ হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক বলেন, বানিয়াচংয়ে হাওরের কৃষকদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নাই। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু হাওরে লেদা পোকা ও আবহাওয়াজনিত পরাগায়ন সমস্যা হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে সার্বক্ষনিক থেকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।