ইউএনও শেখ মহি উদ্দিন বললেন অচিরেই গৃহহীন মানুষজনকে ঢেউটিন ও নগদ টাকা দেয়া হবে
এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ২০টি গ্রামের ঘরবাড়ি। বেসরকারীভাবে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উড়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও ফসলি জমির আধা পাকা ধান। নবীগঞ্জের ইউএনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হলেও এখনও পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি।
নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিট ফরিদপুর, ফরিদপুর, নোয়াহাটি, ধর্মনগর, ছয়ঘর, বৈঠাখাল, ফুটারচর, ঝিটকিয়া, রুস্তমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর, আমুকোনা, বেতাপুর, মিঠাপুর, উত্তর দৌলতপুর, উলুকান্দি, রায়পুর, আউশকান্দি, দেওতৈল, কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শিগ্রাম, ফুটারমাটি, কল্যানপুর, ঘোলডুবা, বোরহানপুর, দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর, দরবেশপুর, বোয়ালজুর, কারখানা প্রভৃতি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে হঠাৎ কালো হয়ে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ২০ মিনিটের ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা উপড়ে ফেলে এবং কাচা পাকা ঘর বাড়ির চাল ও ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। দেবপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মুকিত বলেন, তার ওয়ার্ডে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কাঁচাপাঁকা ঘরবাড়ি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তিনি দ্রুত সরকারী সহায়তা চেয়েছেন।
নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডিজিএম আলী বর্দি খান জানান, নবীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যূত ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ৪/৫ দিন সময় লাগবে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে লাইনের গাছ পড়ে আছে এগুলো সরাতে অনেক সময় লাগছে। কয়েক কোটি টাকার বিদ্যুতের খুঁটি ও তার নষ্ট হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাদের টিমগুলো কাজ করছে। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন অচিরেই গৃহহীন মানুষজনকে টেউটিন ও নগদ টাকা দেয়া হবে।