স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের বিথঙ্গল শ্রীমঙ্গলকান্দি গ্রামে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত গৃহশিক্ষক সোহেল মিয়া ও তার সহযোগী আইয়ুব আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোহেল মিয়া হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তপন চন্দ্র বর্মনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে।
পুুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিথঙ্গল জেডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের সোহেল মিয়া গত এক বছর ধরে তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এর সুবাদে সোহেল মিয়া মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে সোহেল মিয়া ১ম দফা ধর্ষণ করে। গত ১০ মার্চ বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হলে তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে সোহেলসহ দুই যুবক। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে আইয়ুব আলীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বিথঙ্গল ফাঁড়ির পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত দুই যুবক পৈলারকান্দি ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গলকান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৩২) ও একই গ্রামের আজিদ মিয়ার ছেলে সুহেল মিয়াকে (২২) আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। তাদের মধ্যে সোহেল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, কিশোরীর সঙ্গে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিশোরীর বাবা তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মাঝে সোহেল মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।