মেয়েটিকে ধর্ষণ করার জন্য লম্পট সাদ্দাম স্ত্রীকে বাজারে পাঠিয়ে দেয়
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং ধর্ষক সাদ্দামকে গ্রেফতার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৫/১৬ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি এক কিশোরী শ্রীমঙ্গলের শমশেরগঞ্জ থেকে রাস্তা হারিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ চলে আসে। সেখানে এক মহিলার বাড়িতে রাত যাপন করে বৃহস্পতিবার দুপরে চুনারুঘাট উপজেলার জারুলিয়া বাজারে যায়। সেখান থেকে সে পুনরায় শায়েস্তাগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। এসময় সিএনজিতে থাকা উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) এর কাছে কিশোরী খাবার এবং ভাড়ার টাকা চায়। এ সুযোগে সাদ্দাম কিশোরীকে টাকা ও খাবারের প্রলোভন দিয়ে বাসুল্লা এলাকায় নিয়ে যায়। এদিকে সাদ্দাম তার স্ত্রী দিলারাকে ছবি তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে আসামপাড়া বাজারে পাঠিয়ে দেয়। পরে কিশোরীকে সে নিজ বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এদিকে সাদ্দামের স্ত্রী দিলারা বাজার থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। সে তার স্বামীকে ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খুলে বিষয়টি বুঝতে পারে। স্বামীর সাথে তর্কাতর্কি করে দিলারা কিশোরীকে ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। পরে কিশোরী গিয়ে আশ্রয় নেয় ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদ নামে একজনের বাড়িতে। সেখান থেকে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। পরে এসআই সালেহ উদ্দিন মেয়েটিকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে যান। পরে তার বক্তব্য শুনে বিকেলে সাদ্দামকে কৌশলে আটক করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। একই সাথে কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক সাদ্দামকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।