স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামে সরুপা আক্তার (৩০) নামে ৪ সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে স্বামী। তবে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও স্বামী পলাতক থাকায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে লাখাই থানার এসআই এখলাছ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
সূত্র জানায়, নাছিরনগর উপজেলার পার্শ্ববর্তী গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুত্রা গ্রামের ঝাড়– মিয়ার কন্যা সরুফা আক্তারকে বিয়ে দেয়া করেন বুল্লা গ্রামের শামছুল মিয়ার পুত্র ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কালন মিয়া (৩৫)। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোল জুড়ে আসে ২টি পুত্র ও ২টি কন্যা সন্তান।
সরুফা আক্তারের ছোট ভাই হাফেজ আলী আকবর জানায়, সম্প্রতি তার বোনকে বিভিন্ন কারণে নিপীড়ন করে দুলাভাই কালন। প্রতিবারের মত আবার তাকে মারপিটের ঘটনাটি ভাইকে গত সোমবার রাতে জানায়। সকালে তাদের কাছে খবর যায় সরুফা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তাদের কাছে সন্দেহ হলে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় সরুফার পরিবার। দেখতে পায় রান্নাঘরে সরুফার দেহ মাটির সাথে পা লাগানো অবস্থায় লাশ ঝুলে আছে এবং পায়ে রক্ত। কিন্তু কালন পলাতক।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওই এসআই জানান, সরুফার পায়ে দুটি ছিদ্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কালনকে আটক ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।