ঐশি মৃত্তিকা পর্ণা হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। ছোট্টবেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি নৃত্যাঙ্গনে তার প্রবেশ। হাটি হাটি পা পা করে সে এগিয়ে চলেছে সম্মুখ পানে। এসেছে কাক্সিক্ষত সাফল্যও। পর্ণা ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ এ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে লোকনৃত্যে অংশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ২য়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ‘গ’ গ্রুপে ১ম ও জাতীয় পর্যায়ে ৩য়, ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে লোকনৃত্যে সে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়। দেশব্যাপী বয়স ও বিষয়ভিত্তিক নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চুড়ান্ত পর্বে ‘গ’ বিভাগে সেরা ৫ জনের একজন মনোনীত হয় পর্ণা। এ কৃতিত্বের জন্য সরকারিভাবে তাকে তুরস্ক, জাপান ও কোরিয়ায় ১৫ দিনের ভ্রমণের সুযোগ দেয়া হলেও পারিবারিক কারণে সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি পর্ণা। পর্ণা নিজেকে আরো ঝালিয়ে নিতে নৃত্য প্রশিক্ষক প্রবির চন্দ্র শীলের কাছে তালিম নিচ্ছে।
তার অবসর সময় কাটে বই পড়ে আর গান শুনে। তার প্রিয় খাবার শুটকি ভর্তা, প্রিয় ফল পেয়ারা, প্রিয় ফুল কাঠ গোলাপ, প্রিয় রং হালকা গোলাপী। এছাড়াও সে রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব হবিগঞ্জের সদস্য। পর্ণা জানায়, সে হবিগঞ্জের জনপ্রিয় স্বনামধন্য নাট্য সংগঠন জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠীর জ্যোতিসংহিতা নাটকে অভিনয় করেছে। তার অভিনয় দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। পর্ণার পিতা হবিগঞ্জ শহরের মাস্টার কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা সাবেক কৃতি ফুটবলার বর্তমানে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোচ দীলিপ চৌধুরী ও মা পান্না চৌধুরী। পর্ণা নৃত্য শিল্পী হলেও ভবিষ্যতে সে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চায়। আগামী প্রজন্ম কোমলমতি শিশুদের সে লেখাপড়া শিখিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এজন্য সে সকলের আশির্বাদ প্রার্থী।