মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, গর্ভপাত ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের দাবিতে ৫ দিন ধরে ওই কলেজছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে। মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা ফিরোজ মিয়া বলেন, উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের মহব্বত খানের ছেলে রাকিব খান তার কলেজ পড়–য়া মেয়ের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে রাকিব খান গত দেড় মাস আগে তার মেয়েকে শাহজাহানপুর তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই সময় রাকিব খানের পিতা মহব্বত খান মেয়েকে তাড়িয়ে দেন। প্রস্তাব দেন সামাজিক অনুষ্ঠান করে পুত্রবধূর মর্যাদা দিয়ে তার মেয়েকে ঘরে তুলে নেবেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের কৌশল। এখন তার মেয়ে শাহজাহানপুরে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করায় মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, রাকিব আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের আশ^াস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আমি অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ি। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে আমার গর্ভ নষ্ট করে। এখন সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারি না। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আমাকে না নিলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই।
রাকিবের পিতা মহব্বত খান বলেন, ছেলের সাথে কেমন সম্পর্ক তা আমার জানার কথা নয়। ছেলে অনেকদিন ধরে বাড়িতে নেই। এখন মেয়েটি আমার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে আমাকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।
মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়ের জবানবন্দি সংগ্রহ করেছে। মাধবপুর থানায় মেয়ের পিতা শনিবার বিকেলে অভিযোগ দেওয়ার কথা। অভিযোগ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের জন্য হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের নির্দেশে ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা করা হবে। মেয়ের জবানবন্দিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি মামলা হচ্ছে। মামলা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।