স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিষপানে যুবকের মৃত্যুর পর তার লাশ নিয়ে আইনী জটিলতায় পরিবারের লোকজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আইনী জটিলতায় তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল ও থানার গ্যাড়াকলে পড়ে সময়মতো ময়নাতদন্ত না হওয়ায় লাশ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। তবে হাসপাতাল ও থানা কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনি জটিলতার কারণে সময়মতো ময়না তদন্ত হয়নি। অবশেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার পুত্র নাইম (১৮) পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে বিষপান করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওইদিনই বিকাল ৪টায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট প্রেরণ করা হয়। সিলেট নিয়ে যাবার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। স্বজনরা কিছু বুঝতে না পেরে লাশটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওইদিন রাতেই দাফনের চেষ্টা করেন। পুলিশের ফোন পেয়ে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগিতায় লাশটি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও পুলিশ না যাওয়ায় লাশের সুরতহাল হয়নি। আর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি না হওয়ায় মর্গেও নেয়া হয়নি লাশ। এদিকে নাইমের স্বজনরা হাসপাতালে গেলে বলা হয় থানায় যেতে, সদর থানায় গেলে বলে বানিয়াচং থানায় যোগাযোগ করার জন্য। বানিয়াচং থানায় যোগাযোগ করলে বলা হয় হাসপাতালে যোগাযোগ করতে। এভাবে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসা যাওয়া করতে করতেই লাশ পঁচে হাসপাতালে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অবশেষে সন্ধ্যায় নিহতের ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লাশটি জরুরি খাতায় এন্ট্রি করে থানাকে মৃত্যুর সংবাদ দেয়ার পর কোর্ট স্টেশন ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যায় লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। মৃতের ভাই জানান, লাশ নিয়ে যদি এরকম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাহলে দুর্ঘটনা কবলিত লাশ লুকিয়ে দাফন করাই ভালা। পুলিশ লাশ এনে আমাদের আরও বিপদে ফেলেছে।