স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেহেদির দাগ শুকানোর আগেই স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ হারালো সীমা আক্তার (২২) নামের এক নববধূ। ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর স্বামীর দিকেই তুলছেন মৃত সীমার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মাধবপুর থানার পুলিশ শাহজিবাজার তাজপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সীমার লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সহিদের কন্যা সীমা আক্তারের সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয় তাজপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র অলিপুর স্টার সিরামিক কোম্পানীর সুপার ভাইজার সাইফুল্লাহ কনক (২৫) এর। বিয়ে ধুমধামের মাধ্যমে দেয় সীমার পরিবার। সীমার পিতা সহিদ মিয়া জানান, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার মেয়ের উপর কনক বিভিন্ন কারণে নির্যাতন চালাতো। বিষয়টি বেশ কয়েকবার সে তার পিতাকে জানায়। এরপরও ধৈর্য্য ধরে সংসার করতে থাকে সীমা। গত শুক্রবার রাতে ফোন আসে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ কথা শুনার পর তার স্বজনরা কনকের বাড়িতে যান এবং দেখতে পান সীমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা মাধবপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে। সহিদ মিয়া আরও জানান, ঘটনার পরপরই কনক পালিয়ে গেছে। এতে তার সন্দেহ হয় তার কন্যাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কনক ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে। তিনি তার মেয়ে হত্যার বিচার চান এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন খান জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।