মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ৪ লাখ টাকায় আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের বৃদ্ধ আমিরুন্নেছা তার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমির হোসেনের ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাবক্সপুর গ্রামের ফরিদ হোসেন গত দশ বছর যাবত তার শহীদ ছেলের নামে যে ভাতা সরকার দেয় সেই ভাতার টাকা থেকে ফরিদ হোসেন অর্ধেক নিয়ে যান। আমিরুন্নেছা লিখিত অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন, চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপন মিয়া, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সেলিনা আক্তার ঘটনাটি আপোষ করতে আমিরুন্নেছার পরিবার ও ফরিদ হোসেনকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। সেখানে ফরিদ হোসেনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাতিজা নাঈম মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেন তাদের কাছ থেকে চেক বই নিয়ে যান। চেক বই থেকে টাকা তুলে ফরিদ হোসেন অর্ধেক টাকা নিয়ে যেতেন। অভিযোগ করার পর ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার সহ সবাই বসে ফরিদ হোসেনকে ৪ লাখ টাকা দিতে রায় দেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান জানান, ফরিদ হোসেন ১০/১২ বছর যাবত টাকা তুলে খাচ্ছে। আমাদের ভয় দেখাতেন কাউকে বললে তাদেরটা বাতিল হয়ে যাবে।
চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আপন মিয়া জানান, কমান্ডার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছিল। ক্যাপ্টেন কবির ইউনিয়ন পরিষদে বসে বিষয়টি শেষ করে দিয়েছেন।
চৌমুহনী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগগুলো সমাধান হয়ে গেছে।