গুণীজন
ইনসাফ আলী
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহাসিক পইলের জীবন্ত কিংবদন্তি প্রফেসর ডা. দিপক লাল বণিক। ছাত্রজীবন থেকেই মেধাবীদের মেধাবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে। হবিগঞ্জ গভঃ হাই স্কুলের ছাত্র পইলের কৃতি সন্তান ছিলেন দেশ-বরেণ্য চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম মহিউদ্দিন স্যার, সুরের জাদুকর গানের রাজা সুবীর নন্দী, মেজর খায়ের (অব) প্রমুখ গুণীদের সহপাঠী।
পান্ডিত্য কর্মজ্ঞান, বিচক্ষনতা ও দায়িত্বশীলতার পুরস্কার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমবিবিএস- ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মাস্টার্স- ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্কলারশীপ অর্জন করেন এই গুণী। ছিলেন নিপসমের পরীক্ষক এবং যোগ দেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে নেপালে কর্মশালায়।
হবিগঞ্জ জন্মগ্রহণ করে একই জেলায় তিনি সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যা সচরাচর হয় না। বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল ইউনিভার্সিটি বিএসএমএমইউতে ছিলেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে। সর্বশেষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনে অবসর নেন। এটা একটা বিশাল অর্জন ও গৌরবের বিষয়, কেমন নিরপেক্ষতা ও সততা থাকলে এমন উজ্জ্বল কর্মজীবন লাভ করা যায় তা কেবল তিনিই প্রমাণ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সাউথ এশিয়াসহ দেশের সেরা ভার্সিটি গুলোতে “অধ্যাপক” হিসেবে।
মানুষ হিসেবে তিনি সৎ ও বিনয়ী যা অসাধারণ। রতগর্ভা বাবা-মায়ের সন্তান “দিপক লাল বণিক” তার সহজ সরল মানবিক গুণ দিয়ে জয় করেছেন মানুষের মন। তিনি ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে উপ-পরিচালক হিসেবে থাকাকালীন সময়ে প্রথম পরিচয়। তারপর থেকে যতবার স্যারের সাথে দেখা হয়েছে ততবারই মুগ্ধ হয়েছি তার চারিত্রিক সৌন্দর্য্য দেখে। সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে অনেকটা দূর থেকেই “আস ইনসাফ, কেমন আছ” মায়াবী সম্বোধন কানে বাজে বীনার সুরের মতো। নরম কথার জাদুতে খোঁজ নিয়েছেন জন্মস্থান পইলের মানুষের, স্মৃতি-চারণ করেছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। পইলের মানুষকে সময়ে সময়ে সেবা দিয়ে ধন্য করছেন যা অবিস্মরণীয়।
কথায় বলে “সুজন জ্ঞানী হলে কাউয়ারাও সেবা পায়” ঠিক তাই এই মহান মনীষির সেবায় আমি আপন-পর খুঁজে পাইনি, পাইনি ধর্ম- বর্ণের কোন বাধা।। পইলের মানুষের পক্ষ থেকে স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা অবিরাম।
শুভকামনা স্যার,
সুস্থ-সুন্দর থাকুন আমাদের মাঝে, আমাদের অহংকার হয়ে।