স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৩ মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হকের বিরুদ্ধে অতি-দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তদন্তের রিপোর্ট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত অক্টোবর মাসে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মন্দরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন খন্দকার, সাবেক মেম্বার আব্দুর রহমান আনছারীসহ ইউনিয়নের ১৬ জন বাসিন্দা। এর আগে তারা বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগটি জেলা প্রশাসক আমলে নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানাকে বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এ বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্তে নামেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক তিনি অভিযোগের তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্দরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি তারা শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়া রূপরেখা সাজিয়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। সরেজমিনে গেলে দৃশ্যমান কোন প্রকল্প পাওয়া যাবে না। অভিযোগকারীরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।