স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ছিলেন হবিগঞ্জের উন্নয়নের উজ্জল নকত্র। স্বাধীনতার পর হবিগঞ্জের উন্নয়নে তিনি অনেক বেশি অবদান রেখেছেন। তিনি যখনই হবিগঞ্জে এসেছেন হবিগঞ্জবাসীর জন্য কিছু নিয়ে এসেছেন। তার এই অবদান হবিগঞ্জবাসী আজও ভূলে যায়নি। একজন দেশপ্রেমিক, সত্যনিষ্ঠ খোলা মনের বিশাল হৃদয়ের এই ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তার সাধনা, কর্ম ও স্বপ্নের মহিমা নিয়ে তিনি বেঁচে আছেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন- হবিগঞ্জের মাছুলিয়ায় খোয়াই নদীর উপর নির্মিত এম সাইফুর রহমান ব্রীজ, ধুলিয়াখাল-মিরপুর সড়কের খোয়াই নদীর উপর নির্মিত তেতৈয়া-মশাজান সেতু, হবিগঞ্জ-কামড়াপুর জেনারেল রব ব্রীজ, খোয়াই নদীতে নির্মিত শাহ এএমএস কিবরিয়া ব্রীজ, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কের রতœা নদীর উপর নির্মিত বালিখাল ব্রীজ, হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল, হবিগঞ্জ শহরে রোড ডিভাইডারসহ সোডিয়াম বাতি স্থাপন, হবিগঞ্জ ফৌজদারী আদালত ভবন, হবিগঞ্জ জেলা কারাগার, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও বড় বহুলায় নির্মিত শিশু পরিবার, হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট সহ হবিগঞ্জের উন্নয়নে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর ছোঁয়া ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও কামড়াপুর-নছরতপুর সড়ক নির্মাণ, হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ এবং হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক, খুলিয়াখাল-মিরপুর সড়ক, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়ক, হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের ইটসলিং ও পাকাকরণ শুরু হয় এম সাইফুর রহমানের হাত ধরেই। দেশ বরেণ্য বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১১ আগস্ট আলহাজ্ব জি কে গউছের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ পত্রিকার উদ্বোধন করেছিলেন এম সাইফুর রহমান। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল আলহাজ্ব জি কে গউছের। হবিগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড তরান্বিত করতে এম সাইফুর রহমানকে বার বার হবিগঞ্জে নিয়ে আসতেন জি কে গউছ।