স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় দুই বছর দেড় মাস পর মুক্তি লাভ করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বিকালে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেলেন তিনি। তার মুক্তির খবর পেয়ে করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে গতকাল দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকেন দলটির বিপুল কর্মী-সমর্থক। শাহবাগ মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে দলে দলে জড়ো হন তারা। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ধীরে ধীরে তার গাড়িটি হাসপাতাল থেকে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে পৌঁছে গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজায়। পথে পথে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। নেতাকর্মীরা এসময় খালেদা জিয়ার নামে শ্লোগান দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে সদ্য কারামুক্ত দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আপাতত তার নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। বুধবার সন্ধ্যায় ‘ফিরোজা ভবনে’ সদ্য মুক্তি পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ম্যাডামকে জানাতে এসেছি, আমরা ওনার মুক্তিতে অনেক খুশি হয়েছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, উনি যেন এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ পৌঁছায় আইজি প্রিজনের কাছে। পরে বেলা ২টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির ছাড়পত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে গেলে দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে থাকে। কারাগারের অধীনে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে আনতে সেখানে উপস্থিত হন তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিনা ইসলাম। বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে উপস্থিত হন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার স্বজন ও বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই সেখানে হাজির হন। এসময় হাতজোড় করে উচ্ছসিত উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকাল সোয়া চারটায় বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল থেকে বের হন খালেদা জিয়া। হাসপাতাল থেকে যানজটহীন সড়কে দীর্ঘ এক ঘন্টার বেশি সময় লাগে গুলশানের বাসায় পৌঁছাতে। খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি ৪০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে কাওরানবাজার পৌঁছে। গুলশানের বাসায় পৌঁছে ৫টা ২০ মিনিটে।