চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাস আতঙ্কে রোগী আসছেন না চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রোগীশূন্য অবস্থায় আছে উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। হাসপাতালে ভর্তিকৃত সবাই গত তিন দিনেই বাড়ি চলে গেছেন। যারা আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছেন তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড একেবারে খালি অবস্থায় আছে। কোন রোগী পাওয়া যায়নি। অথচ গত সোমবারও হাসপাতালে ৪৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নানা পদক্ষেপ শুরু হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার হাসপাতালে রোগী ছিল ১৫/১৬ জন। বিকেলে একে একে সবাই ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। রাতে হাসপাতালে কোন রোগী না থাকায় হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কোন রোগী নেই অথচ হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের ডিউটি করতে হবে। তাই তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রায় ৩০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও কেউ ভর্তি হয়নি। তারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সবাই হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। যারা মারামারি কিংবা সাধারণ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল তাদের সবারই অবস্থা মোটামুটি ভাল ছিল। সারা উপজেলায় যখন করোনা আতঙ্কে বিরাজ করছে ঠিক সে সময়ে হাসপাতালের রোগীও হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখন যারা রোগী হিসেবে আসছেন তাদের অধিকাংশ সর্দি জ্বর কিংবা প্রাথমিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ডাক্তার কিংবা ইমার্জেন্সিতে এসে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান- গত সোমবারও হাসপাতালে ৪৫ জন রোগী ছিল। তিন দিনে সবাই ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছে। তিনি আরও জানান, তারা করোনা রোগীর আতঙ্কেই মূলত হাসপাতাল ছেড়ে গেছে। এখন কোন রোগী এসে ভর্তি থাকতে চাইছে না। এছাড়া যারা হাসপাতালে আসছে তাদের অবস্থাও মোটামুটি ভাল। তাই তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছে। যেখানে আগে প্রতিদিন ৭০/৮০ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসতো, এখন আসছে ৩০ থেকে ৩৫ জন। আশঙ্কাজনক হারে রোগী কমে গেছে।