দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ ॥ সন্ধ্যায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ ও মোহন সিনেমা হলে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ॥ মসজিদে দোয়া এবং মন্দির গীর্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন ॥ হাসপাতাল জেলখানা এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাদ্য দেয়া হবে
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হবিগঞ্জ কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে তোপধ্বনি, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি অনুযায়ী সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দুর্জয় হবিগঞ্জ, প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, হবিগঞ্জ জেলার প্রথম দুই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহফিল হোসেন ও হাফিজ উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর জেনারেল আব্দুর রব (বীর উত্তম), মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হবিগঞ্জ জেলা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোস্তফা আলী, মরহুম কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম ও ডাঃ সামছুল হোসেন উমদা মিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। সকাল ৮টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে সীমিত উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের নিকট তাঁদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফুল ও উপহার প্রেরণ, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু সদনে উন্নতমানের খাদ্য ও মিষ্টি পরিবেশন; জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। সন্ধ্যা ৬টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ ও মোহন সিনেমা হলে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং উন্মুক্ত স্থানসমূহে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।