চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে অপহরণের ২ মাস পর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে চুনারুঘাট থানার এসআই মোঃ মলাই মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী অপু চন্দ্র পালকে (২২) মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোড থেকে গ্রেফতার করেন। অপু চন্দ্র পাল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাইঝপাড়া গ্রামের বনমালী পালের ছেলে। শুক্রবার সকালে অপু চন্দ্র পালকে পুলিশ হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের উবাহাটায় ভাড়া বাসার বসবাসকারী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তার গত ১৯ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে অপু চন্দ্র পাল ও নাজমা আক্তার আঁখি সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা রুজু করার আদেশ দিলে চুনারুঘাট থানায় মামলাটি রুজু হয়। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় চুনারুঘাট থানার এসআই মোঃ মলাই মিয়াকে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী নাজমা আক্তারের সহযোগিতায় আসামী অপু চন্দ্র পাল বাদীনির নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে তাদের সাথে আনা সিএনজি যোগে শ্রীমঙ্গল নিয়া যায়। পরবর্তীতে ৪ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমকে শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এসআই মলাই মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে সেন্ট্রাল রোডে বনমালী জুয়েলার্স নামীয় দোকান থেকে অপহরণকারী অপু চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে। মামলার অপর আসামী বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার আঁখি পলাতক রয়েছে।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।