স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ কালেক্টরেট সমিতি (বাকাসস) হবিগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গৃহিত ও বাস্তবায়িতব্য কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা কয়েকদিন কর্মবিরতি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ রবিবারও এ কর্মসূচি পাল করবেন তারা।
বাকাসস সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক জানান- মাঠ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি ২০০১ সাল থেকে দাবি করে আসলেও অদ্য পর্যন্ত পদবী পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিগত ২০১১ সালের ১৯ জুন পদবী পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে ৮ বার প্রস্তাব গৃহিত হলেও এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সময়ে সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও উক্ত কার্যালয়ের ১৩তম গ্রেডের অফিস সুপার, সিএ কাম ইউডিএ, প্রধান সহকারী, ট্রেজারী হিসাব রক্ষক ও উচ্চমান সহকারীদেরকে ১০ গ্রেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে, ১৬তম গ্রেডের প্রাপ্ত অফিস সহকারী ও সমপদধারীদেরকে পদবী পরিবর্তন করে ১১তম গ্রেডের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে উন্নীতকরণ করা হয়নি। বার বার আশ্বাস দিয়ে দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তারা আরো বলেন- ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ প্রশাসনে জনগণের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, কাজের সাথে সমন্বয় ও ডিজিটাল অফিস ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করছেন। মাঠ প্রশাসনের ব্যাপক এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সিংহভাগ কাজ করেন সহকারীগণ। জেলা প্রশাসনে নিয়োগের পর সহকারীগণকে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে বুদ্ধিমত্তা, মেধা, দক্ষতা ও বেশি শ্রম দিয়ে এসব কাজ করে কোনো পদোন্নতি না পেয়ে একই পদে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন গ্রেড অনুযায়ী প্রতিটি পদের নাম পরিবর্তন অথবা মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদেরকে সচিবালয়ের ন্যায় পদোন্নতি প্রদানের বিষয়টি যৌক্তিক মর্মে বাস্তবায়নের মধ্যে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও সকল জেলা প্রশাসক সুপারিশ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ করার পর মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ অদ্যাবধি বাস্তবায়িত না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।