অরুনধুতী দে চৌধুরী অ্যাঞ্জেল হবিগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার পাশাপাশি সে চিত্রাংকন চর্চা শুরু করে। শুধু তাই নয় একই সাথে চলতে থাকে নাচ আর গান। চিত্রাংকন, নাচ ও সঙ্গীতের প্রতি মেয়ের আগ্রহ দেখে বাবা-মা মেয়ের জন্য প্রশিক্ষকের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষকের সুযোগ্য দিক নির্দেশনা পেয়ে অ্যাঞ্জেল আরও দক্ষ হয়ে উঠে। বর্তমানে সে মায়ের কাছে গান, তরুণ রায়ের কাছে চিত্রাংকন আর ওস্তাদ গৌতম আচার্য্য’র কাছে নৃত্যের তালিম নিচ্ছে। সে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ এ উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ নৃত্য এবং লোক নৃত্য, সাংস্কৃতিক উৎসবে দলীয় নৃত্য, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা সমিতি, মহানাম সেবক সংঘ, জাগ্রত পূজা কমিটি, শ্রীকৃষ্ণ মহিমা প্রচার সংঘ, ইসকন হবিগঞ্জ, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ হবিগঞ্জ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট হবিগঞ্জ, চারু নিকেতন হবিগঞ্জ, লোকনাথ সেবা সংঘ হবিগঞ্জ সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের চিত্রাংকন ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছে। সে বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থা হবিগঞ্জ ও মঞ্চকুড়ি পিপলস্ থিয়েটার এসোসিয়েশনের সদস্য। অ্যাঞ্জেল ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জাপান ফ্রেন্ডশীপ চিলড্রেন পেইন্টিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেস্ট এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। তার অবসর সময় কাটে চিত্রাংকন আর খেলাধুলা করে। তার প্রিয় খাবার মাংস, প্রিয় ফল আম, প্রিয় রং গোলাপী, প্রিয় ফুল গোলাপ। অ্যাঞ্জেল আনন্দ উৎসবে নতুন জামা পরিধান করতে পছন্দ করে। তার পিতা মনোরঞ্জন দে সরকারি চাকুরিজীবী আর মা অনুরাধা দেব স্কুল শিক্ষিকা। অ্যাঞ্জেল বড় হয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও বড় মাপের বিজ্ঞানী হতে চায়। সে এমন কিছু আবিস্কার করতে চায় যা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এজন্য সে সকলের আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করেছে।
– মঈন উদ্দিন আহমেদ