এসএম সুরুজ আলী ॥ ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে বাহুবলের কামাইছড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে দুই নারীসহ বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কামাইছড়া এলাকার অদূরে পাহাড়ি টার্নিং পয়েন্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ক্রেন দিয়ে গাড়ির নিচ থেকে লাশগুলি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন বাসের হেলপার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মড়রা গ্রামের মৃত ক্বারী মো: ছাদিকুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (৩০), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী কমলা আক্তার (৬৬), মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসুর এলাকার কৃষ্ণপদ দেব নাথের স্ত্রী দিপা দেবনাথ (২৮)। এদিকে মুমূর্ষ অবস্থায় চুনারুঘাট উপজেলার পারকুল চা বাগান এলাকার রানু বৈদ্যর ছেলে কানাই বৈদ্যকে (৪২) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া অন্য আহতদের মধ্যে রয়েছেন আছিয়া বেগম (৩৮), নুরুল হুদা (৫৫), শরুফা বেগম (২০), বিকাশ দেব (৪০), তোফাজ্জল হোসেন (১৭), রফিক মিয়া (১৮), সেকুল মিয়া (১৯), ইব্রাহিম মিয়া (২৮), জুয়েল মিয়া (২৩), তফুরা বেগম (২৩) ও লাখাই উপজেলার বামৈ গরুবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলাম মোস্তাক কামানি (৪৫)। মাওলানা গোলাম মোস্তাক কামানি সিরাজনগর দরবার শরিফের মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল থেকে হবিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী বাস (হবিগঞ্জ ব ০৫-০০৩১) কামাইছড়া পাহাড়ি এলাকার টার্নিং পয়েন্টে পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ের নিচে খাদে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ক্রেন দিয়ে বাস উল্টে নারীসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরোপুরি সকল আহতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও সাতগাঁও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।