এসএম সুরুজ আলী ॥ রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ-বাসাবো এলাকায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষণকারী কলেজছাত্র জুবায়ের মিয়াকে সবুজবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-৩। গতকাল সকালে তাকে সবুজবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর রাতভর জুবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে দু’বার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সে। সবুজবাগ থানায় ওসি মাহবুব আলম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত জুবায়েরকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। থানায় জুবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল জুবায়েরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
র্যাব-৩ জানায়, লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে জুবায়ের মিয়াসহ তার ৩ ভাই রাজধানীর সবুজবাগ-বাসাবো এলাকায় একটি সাবলেট বাসায় ভাড়া থাকতো। জুবায়ের সেখানে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার একটি ল’ কলেজে এলএলবি পড়ছে। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে জুবায়ের পাশের রুমে বসবাসকারী শাহজাহানপুর রেলওয়ে বিভাগের কর্মচারী মহিলার শিশুকন্যাকে ফুসলিয়ে নিজের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়ে শিশুটি পরিবারের কাছে কিছু বলেনি। ঘটনার ৩ দিন পর শিশুটির মা বিষয়টি টের পান। তিনি এ ব্যাপারে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এরপর মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে জানতে দেয়নি শিশুটির মা-বাবা। পরে নিজেদের ভেতরে আলোচনা করে ২২ জানুয়ারি রাতে সবুজবাগ থানায় শিশুটির বাবা মামলা করেন এবং শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এদিকে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে জুবায়ের হবিগঞ্জে পালিয়ে আসে। বিষয়টি শিশুটির পরিবার র্যাব-৩ এর কাছে অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে তার অবস্থা নিশ্চিত হয়ে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অভিযান শুরু করে। র্যাব-৩ এর এএসপি আবু জাফর মোঃ রহমত উল্ল্যাহ ও সহকারী পরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাব জুবায়েরের আত্মীয় স্বজনের বাসায় তল্লাসী চালায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বাসা থেকে জুবায়েরকে আটক করা হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com