ব্যাগেজ হারালে কেজিপ্রতি ক্ষতিপূরণ লাখ টাকারও বেশি

হবিগঞ্জের মুখ রিপোর্ট ॥ ফ্লাইটে ব্যাগেজ (লাগেজ) হারালে বা নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ মিলবে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩৮১ ডলার। যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ২৪১ টাকা। এ ছাড়া বিমান দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। আগে ফ্লাইটে ব্যাগেজ (লাগেজ) হারালে বা নষ্ট হলে কেজিতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেত ২০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভা আকাশপথের যাত্রীদের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে মন্ট্রিল কনভেনশন-১৯৯৯ এর আলোকে এই আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ট্রিল কনভেনশনটি অনুস্বাক্ষর এবং যাত্রীর মৃত্যু, আঘাত ও মালামাল নষ্ট অথবা হারানোর ক্ষতিপূরণ প্রদান সহজীকরণের জন্য মন্ট্রিল কনভেনশনের আলোকে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন ২০২০-এর খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি প্রণীত হলে হলে ব্যাগেজ হারানো বা বিনষ্টের ক্ষতিপূরণ প্রতিকেজি ২০ মার্কিন ডলার (১ হাজার ৭০০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ ডলার (১ লাখ ১৭ হাজার ২৪১ টাকা) করা হয়েছে। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারী দায় হবে ৫ হাজার ৭৩৪ মার্কিন ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৪ টাকা), যা আগে ২০ ডলার (প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকা) ছিল। এ ছাড়া কার্গো বিনষ্ট বা হারানোর জন্য কেজিপ্রতি ২০ ডলার থেকে নতুন আইনে ক্ষতিপূরণের অংশ বেড়ে ২৪ ডলার হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, পুরোনো আইনে (ওয়ারশ কনভেনশন) মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণের হার ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ’ টাকা। নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ মিলবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ মার্কিন ডলার, যা দেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা। ফলে যাত্রীর মৃত্যু অথবা আঘাত, ব্যাগেজ ও কার্গো ক্ষতি অথবা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের হার আগের চেয়ে থেকে অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ সংক্রান্ত আইন প্রণীত না হওয়ায় ২০১৭ সালে নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা নামমাত্র ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।