নুরুল হেরা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় আল্লামা মাসরুরুল হক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক অন্যরকম পরিবেশে চৌধুরী বাজার নুরুল হেরা জামে মসজিদে গতকাল জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। শুরু থেকেই থেমে থেমে কান্নার শব্দ আসছিল মসজিদের বিভিন্ন স্থান থেকে। গত ৩ জানুয়ারি জুমাবারেও সেখানে খুৎবার বয়ান দিয়েছিলেন আল্লামা তাফাজ্জুল হক। গত রবিবার ইন্তেকাল করেন তিনি। তিলতিল করে গড়ে উঠা নুরুল হেরা জামে মসজিদ আল্লামা তাফাজ্জুল হকের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত। মুসল্লীরা আবেগ আপ্লুত ছিলেন দ্বীনের এই দায়ীর ইন্তেকালে। জুমার খুৎবায় আল্লামা তাফাজ্জুল হকের বড় ছেলে আল্লামা মাসরুরুল হক শুরুতেই তার বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন- তিন দিনের বেশি শোক পালনে ইসলামের নিষেধ আছে। আমরা কাঁদতেও পারছি না। ধৈর্য্য ধরার সে শক্তিও আমাদের নাই। এই মসজিদ, বিশাল মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা যার হাত ধরে এতদূর এগিয়েছে তা সামলে নেয়া আমাদের জন্য কঠিন। সেই কঠিন সময়ে আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে চাই। আল্লামা তাফাজ্জুল হক গত ৩ জানুয়ারি জুমার খুৎবায় যেসব নসিহত করে গেছেন এখন বুঝা যায় ওনার জীবনের শেষ খুৎবাই ছিল সেদিন। আল্লামা তাফাজ্জুল হক সব সময় পবিত্রতাকে ভালবাসতেন, সবসময় পাক পবিত্র থাকতে বলে গেছেন, তিনি মসিবতে ধৈর্য্য ধারনের কথা বলে গেছেন, ঐক্য থাকতে বলে গেছেন। তিনি সব সময় চাইতেন কোরআন হাদিস পড়ে পড়ে যেন তার মৃত্যু হয়, যেদিন মারা যান, সেদিন খুবই সুস্থ ছিলেন তিনি, অন্যদিন আমরা ধরে ধরে ওনাকে গাড়িতে তুলে দিতাম, সেদিন তিনি নিজেই গাড়িতে উঠেছেন, মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে দেড় ঘন্টা হাদিস পড়িয়েছেন, জোহরের নামাজের পর অসুস্থ হন এবং মারা যান। আল্লামা মাসরুরুল হক বলেন, আল্লামা তাফাজ্জুল হকের রেখে যাওয়া আমানত আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করব। জুমার খুৎবায় তিনি বলেন- যাদের কাছে ৪ ধরনের আমল আছে তাদের জন্য বেহেস্তের সুসংবাদ রয়েছে। যারা সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করে, যারা সুসংবাদে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, যারা যে কোনো পাপ কাজ করার সাথে সাথে তাওবা করে ফিরে আসে এবং যারা বিপদ মসিবতে ধৈর্য্য ধরে, এই চার ধরনের আমলদারদের জন্য বেহেস্তের সুসংবাদ রয়েছে। সকলকে ইসলামের সুমহান নীতি আকড়ে ধরার আহবান জানান তিনি।