অন্বেষা দাশ শ্রুতি হবিগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। শহরের মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুল থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু। প্লে শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় মা বাবার উৎসাহে নৃত্য চর্চা শুরু করে। নৃত্য করতে গিয়ে সে বেশ আনন্দ পায়। আস্তে আস্তে নৃত্যের প্রতি ঝুঁকে পড়ে সে। পাশাপাশি চিত্রাংকন ও সঙ্গীতের প্রতি তার আগ্রহ দেখে মা বাবা তাতে উৎসাহ দেন। তাদের উৎসাহে শ্রুতি লেখাপড়ার পাশাপাশি নৃত্য, চিত্রাংকন ও সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতে থাকে। ইতোমধ্যে সে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা সমিতি হবিগঞ্জ, মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুল হবিগঞ্জ, শ্রীকৃষ্ণ মহিমা প্রচার সংঘ হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ, মহানাম সেবক সংঘ হবিগঞ্জ ও রবীন্দ্র নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত চিত্রাংকন; আমাদের গল্পকথা হবিগঞ্জ আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লোকনৃত্য, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত শিশু আনন্দ মেলা ও নাট্য উৎসে হবিগঞ্জ সদর এবং জেলা পর্যায়ে সৃজনশীল নৃত্য, বাংলা নববর্ষে লোকনৃত্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জনসহ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে। এ ছাড়াও ঢাকায় নৃত্য সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সে জাতীয় পর্যায়ে একক ও দলীয় নৃত্যে হবিগঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে। নিজেকে আরো শানিত করে নিতে শ্রুতি হবিগঞ্জের বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক গৌতম আচার্য্যর কাছে নৃত্য, স্বরদিন্দু দাশের কাছে গান ও অসীম বণিকের কাছে গানের তালিম নিচ্ছে। সে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও দেশের প্রকৃতি নিয়ে ছবি আঁকতে পছন্দ করে। তার অবসর সময় কাটে গল্পের বই পড়ে। তার প্রিয় খাবার ভাত মাংশ, প্রিয় ফল আম, প্রিয় ফুল পদ্ম আর প্রিয় রং সাদা। আনন্দ উৎসবে সে ফ্রগ পড়তে পছন্দ করে। সে আইনজীবী সহকারি অসীম রঞ্জন দাশ ও শিপ্রা রানী দাশের একমাত্র কন্যা। ভবিষ্যতে সে একজন ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হয়ে সমাজের অসহায় গরীব দুঃখি মানুষের সেবা করতে চায়। এজন্য শ্রুতি সকলের আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করেছে।