
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে প্রাণ কোম্পানির এক কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে সিএনজি অটোরিকশা চালক লম্পট ধর্ষক আব্দুর রশিদ (২৫)। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া আসামী রশিদকে আদালতে প্রেরণ করলে রশিদ ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এদিকে, ওই কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণে জড়িত সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের বাল্লা গাজীপুর গ্রামের তনজু মিয়ার সপ্তদর্শী কিশোরী কন্যা অলিপুরে প্রাণ কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সে সুস্থ হয়ে কাজে যোগদানের প্রস্তুতি নেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে হবিগঞ্জ শহরে এসে কামড়াপুর ব্রিজের নিকট অলিপুর যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা খোঁজে। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার নিতাইরচক গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র সিএনজি চালক আব্দুর রশিদের সাথে তার দেখা হয়। তখন ওই কিশোরী ভাড়া ঠিক করে অলিপুরে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠে। উঠার পর লম্পট চালক ও তার সহযোগীরা বাইপাস সড়কের পাইকপাড়া ও ধুলিয়াখালের মধ্যবর্তী নির্জন স্থানে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওইদিন রাত ১১টায় পাইকপাড়া বাইপাসে পুলিশ টহলকালে কিশোরীর চিৎকার শুনে সিএনজি অটোরিকশাসহ আব্দুর রশিদকে আটক এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রহরায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী রশিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষণের অন্যতম হোতা সোহেল রানাকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। সোহেল রানা আষেঢ়া গ্রামের বায়োজিদ মুহুরির পুত্র। গ্রেফতারকৃত রশিদকে আদালতে হাজির করা হলে সে সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। তার সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।