উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণায় টিলা ধ্বসে ৩টি ঘর ভেঙে গেছে। এতে তিন পরিবারের নারী-শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ। এদিকে টিলা ধ্বসের খবরে দিনারপুর পরগণার তিনটি ইউনিয়নের পাহাড়-টিলার পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মীর টিলার পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণা দেবপাড়া, গজনাইপুর ও পানিউমদা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মুষলধারে বৃষ্টি হলেই পাহাড়-টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। টানা বৃষ্টির ফলে শুক্রবার ভোরে গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও মীর টিলার মাটি ধ্বসে পড়ে। এতে মীর টিলার পাদদেশে বসবাসকারী হিরা মিয়া, ধনাই মিয়া ও রেজাক উল্লাহর ঘর ভেঙে গবাদি পশু ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন তিনটি পরিবারের নারী-শিশুসহ ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
টিলা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হিরা মিয়া বলেন- মুষলধারে বৃষ্টি হলেই আমরা যারা পাহাড়-টিলার নিচে বসবাস করি তাদের মনে পাহাড় বা টিলা ধ্বসের আশঙ্কা বিরাজ করে। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ মীর টিলার মাটি ধ্বসে আমার ঘরসহ ৩টি ঘর ভেঙে গেছে। তাৎক্ষনিক স্থানীয়দের সহায়তায় ভেঙে পড়া ঘরের নিচ থেকে আমাদের উদ্ধার করা হয়। ঘরের মালামাল ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ৩টি পরিবারের ১০ জন আহত হয়েছি। পরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ।
গজনাইপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহেদ আহমদ জানান- তার ওয়ার্ডের মীর টিলার নিচে ১৫-২০টি পরিবার বসবাস করেন। শুক্রবার ভোরে মীর টিলার মাটি ধ্বসে পড়ে হিরা মিয়া, ধনাই মিয়া ও রেজাক উল্লাহর ঘর ভেঙে গেছে। মানুষ, গবাদি পশু ও আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ বলেন- টিলা ধ্বসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কি দেয়া যায় তার একটি তালিকা করে খুব দ্রুত সহায়তা প্রদান করা হবে।