মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীর যৌন ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে ॥ থানায় জিডি করে বাপ্পী নিজেকে নির্দোষ এবং ভিডিওটি সুপার এডিট বলে দাবি করেছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যৌন আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার দুদিনের মাথায় হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ায় এমন কর্মকা- এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে স্বপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীর যৌন আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নজরে আসে।
মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী অজ্ঞাত এক যুবতীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছেন এবং তাকে উরু কিস করছেন। এতে ওই যুবতী নেচে নেচে উলঙ্গ হয়ে গোসল করছে আর ওই যুবতীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে আরিফ বাপ্পী নিজেও নগ্নতায় জড়িয়ে পড়েন। এ ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের যুব শ্রেণীর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করেন। সকলেই ছাত্রলীগ সভাপতির প্রতি অনেকটা ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং তার অব্যাহতি দাবি করেন।
অবশ্য এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, সকলেই জানে আমি এমন ধরনের মানুষ না। আমার দ্বারা এমন অসামাজিক কার্যকলাপ হয়নি। ভিডিওটি সুপারএডিট করা। আমার মানহানী ও জেলা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র এডিটের মাধ্যমে ওই ভিডিও একে অপরের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
অপরদিকে মোশারফ হোসেন বাপ্পী গত ১৬ সেপ্টেম্বর বানিয়াচং থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন- তিনি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করে আসছেন। জিডিতে তিনি ৭টি ফেসবুক আইডির লিংক উল্লেখ করে বলেন, ওই ফেসবুক আইডির ব্যক্তিরা তার ছবি কৌশলে সংগ্রহ করে ছবির সাথে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি এডিট করে ভিডিও তৈরী করে। তারা ওই ভিডিওতে বিভিন্ন বাজে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা লিখে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। বিষয়টি তার নজরে আসার পর থেকে তিনি শঙ্কিত অবস্থায় আছেন। এ বিষয়ে তিনি কোন কোন ফেসবুক আইডির ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে তারা তার (বাপ্পীর) সাথে খারাপ আচরণ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। জিডি নং- ৯০৭, তারিখ- ১৬/০৯/২০২৩ইং।