স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুর উপজেলার পিয়াইম গ্রামে শুক্রবার সকালে গহনা বিক্রি করতে না দেয়ায় স্ত্রী ফাহিমা’র (২৩) হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে পাষন্ড স্বামী শামীম মিয়া। প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- প্রায় ২ বছর আগে ছাতিয়াইন ইউনিয়নের পিয়াইম গ্রামের মিজাজ আলীর ছেলে শামীম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের গুনিপুর গ্রামের মেয়ে ফাহিমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই ব্যবসার জন্য ফাহিমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয় স্বামী। দুই এক বার ব্যবসার জন্য টাকা এনে দিলেও শামীম ব্যবসা না করে ওই টাকা নষ্ট করে ফেলে। আবার টাকা এনে দেয়ার জন্য ফাহিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে একাধিকবার সামাজিক বৈঠকও হয়েছে।
নির্যাতিত ফাহিমা জানান- বিয়ের পর থেকে আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে শামীম। দুইবার টাকা এনে দিলেও সে ব্যবসা না করে টাকা নষ্ট করে ফেলে। শুক্রবার সকালে আবারও ব্যবসার জন্য ফাহিমার স্বর্ণের গহনা বিক্রি করার জন্য চাপ দেয় শামীম। এতে ফাহিমা রাজি না হওয়ায় শামীম তাকে মারধোর করে। এক পর্যায়ে শামীম ধারালো দা দিয়ে ফাহিমার হাতের কব্জি কেটে ফেলে। প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ছাতিয়াইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবেদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- আহত মেয়েটি হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান- এখনও কেউ এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com