স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যাংকের টাকায় গাড়ী কিনে বিক্রি করে কাগজপত্র সমজিয়ে না দেয়ার অভিযোগে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা ফজলুর রহমান লেবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজলুর রহমান লেবু হবিগঞ্জ-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী অগ্রদূত গাড়ির মালিক, নবীগঞ্জ সড়কে অবস্থিত অগ্রদূত ফিলিং স্টেশনের মালিক এবং মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ শহরের আইয়ূব আলী রেস্তোরাঁর মালিক মাহমুদা আক্তার পারুল। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফজলুর রহমান লেবু ২২ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই তারিখে একটি হাইএস গাড়ি বিক্রি করেন আইয়ূব আলী রেস্তোরাঁর তৎকালীন মালিক রাজিয়া আক্তারের কাছে। উপস্থিত সময়ে মূল কাগজপত্র না দিয়ে ফজলুর রহমান লেবু জানান- ব্যাংকে কিছু ঋণের টাকা রয়েছে, গাড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহের মধ্যেই মূল কাগজ সমজিয়ে দেয়া হবে। সরল বিশ্বাসে রাজিয়া আক্তার তা মেনে নেন এবং টাকা পরিশোধ করেন। একটি এফিডেভিট সম্পাদন করে ফজলুর রহমান লেবু টাকা প্রাপ্তির কথা স্বীকারও করেন। দীর্ঘদিন কাগজপত্র সমজিয়ে না দেয়ায় বিপাকে পড়েন ক্রেতা। ইতিমধ্যে রাজিয়া আক্তার মারা যান। তার মেয়ে মাহমুদা আক্তার পারুল বিদেশ থেকে দেশে এসে ব্যবসা বাণিজ্যের হাল ধরেন। তিনিও অনেকবার মূল কাগজ পেতে সামাজিক বিচারের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন। হবিগঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের কাছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করলে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধ মিমাংসা করতে না পারার বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করেন। পরে পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করেন মাহমুদা আক্তার পারুল। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নিলে ফজলুর রহমান লেবু স্বহস্তে লিখিত দেন যে, ১৫/১২/২০২০ ইং তারিখের মধ্যে গাড়ির মূল কাগজ মাহমুদা আক্তার পারুলের কাছে সমজিয়ে দেবেন। তথাপি গাড়ির কাগজ না দেয়ায় প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে ফজলুর রহমান লেবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাহমুদা আক্তার পারুল।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com