স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে অপহরণের ৩ দিন পর হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের ক্লিনার আলতাফ হোসেনকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকাসহ ২ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুল বাতিনের ছেলে হাবিব। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা।
পুলিশ জানায়, অপহরণকারী মনিরুল ইসলাম ঢাকার তেজগাঁও এলাকার সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে শরবত বিক্রি করতো। এ সুবাদের স্কুলের ক্লিনার আলতাফ হোসেনের সাথে সে সখ্যতা গড়ে তুলে। গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় স্কুল থেকে শাহীনবাগ এলাকায় বাসায় যাওয়ার সময় আলতাফ হোসেনকে এগিয়ে দেয়ার কথা বলে প্রাইভেট কারে তুলে মনিরুল। পরে প্রাণনাশের হুমকি দেখিয়ে তাঁকে হবিগঞ্জ নিয়ে আসে। পরদিন বিকেলে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আলতাফ হোসেনের জামাতা তুহিন চৌধুরীকে ফোন করে অপহরণকারীরা। এসময় বিকাশে ১০ হাজার টাকা দেয়া হলেও তারা আরও বেশি টাকা চায়। পরে ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন অপহৃত আলতাফের জামাতা তুহিন চৌধুরী। এক পর্যায়ে র‌্যাবের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান হবিগঞ্জে জানতে পেরে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় অপহৃতের পরিবার। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিবি’র ওসি মানিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গোয়েন্দা পুলিশ হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল রোড এলাকার হোটেল পলাশে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় অপহৃত আলতাফ হোসনকে উদ্ধার ও মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।