টাকা না দিলে দোকানদারদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে তারা। তাই ভয় ও লজ্জায় বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয় বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী

সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি কিংবা বিয়েবাড়ি সবখানেই হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। কেউ কেউ ভয়ে আবার কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু ইদানিং হিজড়াদের আচরণ বদলে গেছে। পাল্টে গেছে তাদের টাকা চাওয়ার ধরনও। আগের দিনের সেই টাকা তোলাও এখন চাঁদা আদায়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে হিজড়ারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের লাখাই বাজারে হিজড়াদের চাঁদা আদায়ের বাস্তব চিত্র দেখা যায়। তারা চা বিক্রেতা, কলা বিক্রেতা থেকে শুরু করে প্রতিটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০/২০ থেকে শুরু করে ৫০/১০০ টাকা আদায় করছে। মাসে ১/২ বার এ চাঁদা তোলা হয় বলে সুজন শীল নামে এক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান। জুয়েল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী জানান তার কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করে। তিনি জানান হিজড়াদের যন্ত্রণায় কিছু বলতেও পারছি না।
বাজারের প্রতিটি দোকান থেকেই মাসে দুইবার টাকা আদায় করে তারা। টাকা না দিলে দোকানদারদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। তাই ভয় ও লজ্জায় বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয় বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী।
তাদের এই অবৈধ চাঁদা বন্ধ করতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান সাধারণ ব্যবসায়ীরা।