স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সুখচর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার ফিকলের আঘাতে চাচা আব্দুল কদ্দুছ (৫৫) নিহতের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী। উল্টো ওই মামলার বাদী নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ওই মামলার অন্যতম আসামী ভুলু দাস (৫৫) ও তার স্বজনরা মামলা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করছেন।
নিহত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে বিল্লাল মিয়া জানান, মামলা করে আমরা বিপাকে পড়েছি, আমার পিতাকে হত্যার দিন থেকেই পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার না করে বিবাদীদের রক্ষা করার জন্য উল্টো আমাদের বাড়িতে পরপর ১৫দিন অবস্থান নেয়। বিবাদীরা আসন্ন পূজায় আমাদের গ্রামে থাকা মন্দিরে ভাংচুরসহ যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত করে আমাদের হয়রানি করতে পারে। ওই গ্রামের মুরুব্বী মলাই মিয়া জানান, সুখচর গ্রামে প্রায় ১শ’টি হিন্দু পরিবারের বসবাস। নিহত আব্দুল কদ্দুছ খুবই ভাল লোক ছিল। তার যৌথ প্রচেষ্টায় এ গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সে কোনদিন কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আক্রমণ তো দূরের কথা কোন কটুক্তিও করেনি। তবে আমাদের জানামতে এ হত্যার সাথে যারা জড়িত সবাইকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। সুখচর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হামিদ জানান, আব্দুল কদ্দুছ হত্যা মামলার আসামীরা খুবই প্রভাবশালী। তারা ভূয়া দলিল তৈরি করে আমার অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি কোন বিচার পাইনি। উল্টো ব্লেড দিয়ে নিজেদের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আমাকে ১ মাস কারাবরণ করিয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে, আশা করি খুব শীঘ্রই তাদের আটক করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুখচর গ্রামের মৃত টেকাই মিয়ার পুত্র দিনমজুর আব্দুল কদ্দুছকে (৫৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পুত্রসহ আরও ৫জন আহত হয়। আহতদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে নিহতের স্ত্রী সুন্দর নেছা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।