স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বানিয়াচঙ্গের বড়বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি রঞ্জন কুমার সামন্তসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন- আকরাম, আনোয়ার, মুহাদ্দিস, সায়েল, লিটন, টিটু, হৃদয়। তাদের মধ্যে মুহাদ্দিসকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, উপজেলা সদরের চতুরঙ্গরায়ের পাড়া ও নন্দীপাড়া বোয়ালিয়া হাটির দু’দল কিশোরের মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গতকাল শনিবার উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নন্দীপাড়ার বোয়ালিয়া হাটি ও দেওয়ান দীঘিরপাড় গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বড়বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোঃ সেলিম, বানিয়াচং থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্তসহ বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তাদের সহযোগিতা করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পুলিশ ও নেতৃবৃন্দের ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার।
ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬৭টি রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে বাজারের অনেক দোকান ও নিকটবর্তী ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম জানান, যেকোন ধরনের পরিস্থিতির এড়াতে থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন- রবিবার থেকে সন্ধ্যার পর স্কুল ও কলেজপড়–য়া কোন শিক্ষার্থীকে অকারণে বাজার এলাকায় পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
ওসিসহ আহত অর্ধশত ॥ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ ॥ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম বললেন- আজ রবিবার থেকে সন্ধ্যার পর স্কুল ও কলেজপড়–য়া কোন শিক্ষার্থীকে অকারণে বাজার এলাকায় পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com